শীতকালে সুস্থ থাকার ৯টি সহজ উপায়


মৌরি, এলাচ, দারচিনি, এ ধরনের কিছু মসলা এশীয়দের কাছে খুবই পরিচিত, যা চীন এবং মিশরে ৫০০০ বছর আগে থেকে শীতকালের নানা অসুখে ব্যবহার হয়ে আসছে৷ যা আজকাল জার্মানদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

ধনে-
বাঙালি রান্নায় প্রতিদিনই ধনের ব্যবহার রয়েছে একথা ঠিক তবে এর কী উপকারিতা তা কি জানি সবাই? ধনে পেট, অন্ত্র এবং নার্ভকে ঠান্ডা বা শান্ত রাখে৷ তা ছাড়া জটিল মাথাব্যথা অর্থাৎ মাইগ্রেন সারতেও ভূমিকা রাখে৷ এক চামচ শুকনো ধনে ফুটন্ত পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর তা ছেঁকে একটু মধু মিশিয়ে পান করুন, হালকা বোধ করবেন৷

মৌরি-
সামান্য মিষ্টি স্বাদের এই মৌরিকে আমরা খাওয়ার পর হজমের জন্য একটুখানি মুখে দেয়ার সুবাদে চিনি৷ জার্মানরা এই মৌরিই ব্যবহার করে বিভিন্ন কেক বা বিস্কুট তৈরি করার সময়৷ মৌরি পেট পরিষ্কার রাখতে এবং স্বাসনালীর ইনফেকশনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে৷ শীতকালে আধা চামচ মৌরি চা ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে দিনে কয়েক বার পান করলে পেট এবং স্বাসনালীর সমস্যা দূরে থাকে৷

আদা-
আদার গুণের কথা আজ আর কে না জানে? আয়ুর্বেদি ওষুধের তালিকার আদার স্থান অনেক ওপরে৷ আদা, কাশি, পেটের সমস্যা এবং বমি-বমি-ভাব দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে৷ বড় এক টুকরো আদা এক লিটার পানিতে ঘন্টাখানেক ফুটিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর ছেঁকে বোতলে ঢেলে রাখুন৷ তার পর কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প করে পান করুন, যা পেটের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করবে৷ পরামর্শ: কোলনের ইন্টারনিস্ট ডাক্তার ক্লাউস ইয়ুর্গেন স্ল্যুইটার৷

এলাচ-
পোলাও, কোর্মা, বা মিষ্টি জাতীয় নানা খাবারে সুন্দর ঘ্রাণের জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ জার্মনিতে বড়দিন উপলক্ষে তৈরি নানা কেক বিস্কুটে এলাচ দেওয়া হয়৷ এলাচ পেটকে শান্ত রাখে, নিঃশ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত করে৷ এমনকি এই ক্ষুদ্র এলাচ দানা চিবোলে নাকি মানুষের মনও ভালো হয়ে যায়৷

জায়ফল-
জায়ফল অর্থাৎ শক্ত বাদামের মতো দেখতে এই মসলাটির জন্ম ইন্দোনেশিয়ায়৷ এর ভেতরের শক্ত দানা গুঁড়ো করে খেলে ইনফেকশন এবং বাত ও গেঁটে বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী৷ জায়ফল খাওয়ায় রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে, তবে পরিমাণে খুবই কম খেতে হয় অর্থাৎ মাত্র এক চিমটে৷

লবঙ্গ-
লবঙ্গ মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং খুশখুশে কাশি দূর করে৷ লবঙ্গের ঝাঁঝ শরীরে উদ্দীপক হিসেবেও কাজে করে৷

জাফরান-
সবচেয়ে দামি মশলাগুলোর মধ্যে মিষ্টি রং-এর জাফরান একটি৷ যা এশীয় খাবার অর্থাৎ পোলাও, বিরিয়ানি এবং বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারে দেওয়া হয়৷ তা ছাড়া একগ্লাস গরম দুধে এক চিমটে জাফরান দিয়ে দু’মিনিট গরম করে পান করে নিন৷ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য তাদের সাহায্য করবে৷ জাফরান হালকা হৃদরোগের সমস্যায়ও নাকি অনেক সময় উপকারে আসে৷

দারচিনি-
দারচিনি শুধু খাবারে সুন্দর মিষ্টি ঘ্রাণই ছড়ায় না৷ এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়৷

গোলমরিচ-
গোলমরিচ হাড়ের ব্যথা, স্ট্রেস এবং নার্ভাসনেস দূর করতে সাহায্য করে থাকে৷ ভালোভাবে গরম করা একমুঠো গোলমরিচ একটি কাপড়ে নিয়ে তা ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে৷
Share:

1 comments: