সকলের প্রয়োজনে
Share:

প্রয়োজনীয় কিছু টিপস যা সর্বদা আপনার কাজে লাগবে.. না পড়লে মিস করবেন!

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু অজানাকে জানতে এ পোষ্ট



** যে কোন ধরনের চুলকানি চর্মরোগ এ নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসল এর ৩০ মিনিট আগে          লাগালে ভালো হয়।

** রক্ত আমাশয় হলে ডুমুর গাছের শিকড় এর রস সকাল বিকাল দুইবার খান।

** দাঁতের ব্যাথা হলে আক্রান্ত স্থানে কাঁচা হলুদ হালকা কুসুম গরম করে লাগিয়ে দিন। আবার যদি             দাঁতের মাড়ি ক্ষয় দাঁত দিয়ে রক্তপড়া  এসব সমস্যার জন্য জামের বিচি গুড়ো করে নিয়মিত দাঁত         মাজলে দারুন উপকার করা যায়।

** ফোঁড়া  হলে তা যদি বেশি সমস্যা করে বা না পেকে শক্ত  দঃরার মতো হয়ে যায়, তাহলে কলমি             শাক এর কচি পাতা এবং শিকড় একসঙ্গে পেস্ট তৈরি করে ফোঁড়ার উপর লেপে দিয়ে দির্ঘক্ষণ             রেখে দিলে ফোঁড়া সহজে পাকবে ও কম সময়ে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। 

** শরীরের অংশ যেমন হাত পা আঙ্গুল মাথা পায়ের যে কোন অংশ মচকে  গিয়ে ব্যাথা পেলে চালতা গাছের পাতা ও মূলের ছাল সমপরিমান  এক সঙ্গে পেস্ট করে  ব্যাথার যায়গায় লাগালে দারুন কাজ করে।

** আমাদের ঠোঁটের দুই পাশে ও মুখের ভেতরে অনেক সময় দেখা যায় ঘা এর মত হয়, এর জন্য সমাধান পেতে হলে গাব ব ফরের রসেএর সাথে অল্প পরিমান পানি মিশিয়ে লাগালে খুব ভালো কাজ হয়।

** অনেক মানুষের গায়ে বিরক্তিকর ঘামের গন্ধ বেল পাথা পানিতে ভিজিয়ে  এ পানি দিয়ে শরীর মুছলে সমাধান পাওয়া যায়।

** মাথা ব্যাথা অনুভব করলে এক মুষ্টি পরিমান কালোজিরা একটা পুটলির মধ্যে বেধে শুকতে থাকুন মাথা ব্যাথা সেরে যাবে।

** এ শিতে কাশি হলে দুই বা তিন টুকরা দারুচিনি ১-২ টা এলাচি, তিনপাতা তেজপাতা সমপরিমান লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেকে নিন, হালকা গরম পানি খেলে কাশি ভালো হয়।

** গলায় মাছের কাটা আটকালে  অর্ধেক লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে নিন েফলে আটকে যাওয়া কাটা আস্তে আস্তে নরম হয়ে নিচের দিকে নেমে যাবে।

** শরিরের যে কোন অঙ্গ কেটে গেলে ক্ষত স্থানে সাদা কাগজ টুকরা লাগিয়ে দিন রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

** শ্বাস কষ্ট হলে বাসক পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে সমপরিমান মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন আশা করি উপর্কৃত হবেন।

** রাতে ঘুমের সমস্যা বা ঘুম ভালো না হলে ডালিমের রসের সাথে ঘৃতকুমারীর শাস মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা রাথে ঘুমানোর আধঘন্ট আগে এক গ্লাস গরম গরম দুধ খেয়ে নিন রাতে ভালো ঘুম হবে।

* হঠাৎ পেট গ্যাস হলে বা ক্ষুধা মন্দা হলে এক টুকরা আদা দিয়ে একচামচ রস খেয়ে নিন ভালো কাজ করবে।
Share:

পুরুষের ত্বক ভালো রাখিার কিছু কৌশল



আজকাল অনেকেই মনে করে যে রূপচর্চায় শুধু মহিলাদের জন্য। এসব ধারনা টিকনা নারী ও পুরুষ সবারই ত্বকে যত্ন নেয়া উচিত, কারন আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকেরও বয়স বাড়ে।
আসুন পুরুষ এর ত্বকের যত্ন নিতে কি কি করতে হবে জেনে নেয়া যাক।

* পুরুষের ত্বক মহিলাদের চেয়ে শক্ত হয় তাই ধুলাবালি ও ময়লা ত্বককে দ্রুত নষ্ট হয়। সে জন্য পুরুষের ত্বকের যত্ন নিতে ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা উচিত ফলে ত্বক ভালো থাক।

* পুরুষরা প্রতি নিয়ত দাড়ি কাটা শেভ করা টা অনেকটা স্মার্ট মনে হলেও , মূলত শেভ বেশি করাটা ভালো না, তবে বেশি শেভ করলে যত সম্ভব গোসলের পর শেভ করাটা উত্তম।

* অনেক পুরুষের দেখা যায় চোখের নিচে কালচে রংয়ের হয়ে যায়, এটি বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমন অনেকে বলে রাতে ভালো ঘুম না হলে এমন হয় আবার অনেকে বলে বয়সের চাপ, অনেকে বলে অতিরিক্ত  কাজের প্রেশারে এসমস্যা হয় যাইহোক এর চেয়ে মুক্তির উপায় হলোনিয়মিত হাইড্রোটিং ক্রিম ব্যবহারের ফলে এর ভালো ফল পাওয়া যায়।

* পুরুষের নিয়মিত রূপচর্চা করতে পারেনা। তার কারন হলো কর্ম ব্যস্থতা,  মুখের সূর্যের আলোতে অনেকের ত্বকই ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই এর থেকে বাচতে নিয়মিত সানস্কিন ব্যবাহার করুন,  এটি মূলত ত্বককে ক্ষতিকর রশ্মি হতে বাচিয়ে রাখে।


Share:

আপনার মস্তিষ্কের সর্বদা সতেজ রাখার জন্য কয়েকটি খাবারের তালিকা


বর্তমানে আমরা খাবারের বেলায় খুব সচেতন, মূলত নিজের স্বাস্থ্যকে সুস্থ সবল রাখার জন্য এ সচেতনতা। কোন কোন খাবার আছে স্বাস্থের জন্য ভালো যেমন তেল চর্বি ছাড়া খাবার ঠিক মস্তিষ্কের সুস্থ ও ভালো রাখার জন্য কিছু ভালো খাবার রয়েছে, যা খেলে সর্বদা আপনার মস্তিষ্ক সুস্থ ও সবল থাকবে আসুন যেনে নেই আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু খাবারের তালিকার নাম।

* গ্রিন টি বা সবুজ চা- আমাদের মধ্যে অনেকেই কপি পছন্দ করে আবার অনেকেই চা পছন্দ করে এর দুটিতেই ক্যাফেন রয়েছে, যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য তেমন ভালো না তবে গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ক্যাফেন এর পাশাপাশি এল-থিয়াইন রয়েছে যা শুধুমাত্র আপনার মস্তিষ্কের উদ্বেগের মাত্রা কমিয়েদেয়। কপির চেয়ে গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ক্যাফেন এর পরিমান অনেক কম, তাই সম্ভব হলে গ্রিন টি পান করা ভালো।

* কমলা -কমলাতে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের শতভাগ ভিটামিন সি পুরণে সহযোগীতা করে, শুধুকি তাই? ভিটামিন সি মস্তিষ্কের সহ হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগেরও ঝুকি কমায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

* ডাল- ডাল আমাদের একটি প্রিয় খাবার  এখাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন বি-6, বি-9 এবং লৌহ রয়েছে।

* নারিকেল তেল- নারিকেল তেলের রয়েছে ভিবিন্ন গুণাগুন যা আমাদের শারীরিক সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে যেমন ত্বক অ্যালজাইমার রোগের সবচেয়ে ভালো কাজ করে। নারিকেল তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


Share:

হজম শক্তি বাড়াতে যা যা খাবেন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের অনিয়ম, বাহিরের তেল, মসলা, ঝাল েএগুলো খেতে হয় কমবেশি প্রায় প্রতিদিনই। তো এগুলো হজমের কত যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তা অনেকেই অনুমান করতে পারে না।
আসুন জেনে নেয়া যাক আপনার হজমের সমস্যা হলে কিভাবে তা সমাধান করবেন।

* আপনার প্রতিদিনের খাবার খাওয়ার সময় খাবার যতো বেশি সম্ভব চিবিয়ে খাবেন, খাবার যতো চিবিয়ে খাওয়া যায় ততই আপনার হজমের দিক দিয়ে ভালো উপকার পাবেন।

*আপনার প্রতিদিনের খাবারে সবজি রাখতে পারেন কারন সবজি যতো বেশি খাবেন ততই ভালো, আর এমনিতেই সবজি খেলে হজমের সমস্যা হয় না। তবে সবজি হতে হবে ফরমালিন ও কিটনাশক মুক্ত তাহলে ভালো হজম এর ফলাফল পাওয়া যায়।

* প্রতিদিন প্রক্রিয়া যাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারন পক্রিয়া যাত খাবারে প্রচুর রাসায়নিক, কেমিক্যাল ব্যবহার হতে পারে, যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যার ফলে  এসব খাবার খেলে হজমশক্তি মারত্নক ক্ষতি হতে পারে।

*  আপনি সম্ভব হলে প্রতিদিন গ্রিন-টি খেতে পারেন, গ্রিন-টি খেলেও আপনার হজমের সমস্যা সমাধান হবে। গ্রিন-টি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়।

* সর্বদা ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন, কারন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারে আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়।

* আপনার ঘুমের সমস্যা হলে হলেও হজমের সমস্যা হতে পারে। 

Share:

নতুন চুল গজাতে এ পাতার উপকারীতা জেনেনিন

নিম পাতা আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটি পাতা যার ঔষধি গুণাগুন প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের  ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
** আসুন জেনে  নিই এ পাতার  ঔষধিগুণাগুণ সম্পর্কে**

* নিম পাতার রসে প্রচুর পরিমান ভিটামিন -ই , ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা আমাদের শরীরের ত্বকের সর্বদা সতেজ ও ভালো রাখে, তাই প্রতিদিন নিমপাতার রস খাওয়া প্রয়োজন।

*নিমপাতায় ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক-এর আক্রমনের হাত থেকে ত্বক-কে সুরক্ষিত দারুন কাজ করে ও মুখের ব্রণ দুর করতে সহায়তা করে এ নিম পাতা।

* ত্বকের উজ্জলতা ধরে রাখতে  নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে মুখে লাগাতে পারেন এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে, তবে এটি লাগানো অবস্থায় রোদে না যাওয়াটাই ভালো।

* নিম গাছের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দাঁতের ফাঁকে জীবানু বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রামণ ও দাঁতের ভিবিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে এ নিম গাছের ডালে।

* আপনার শরীরের কোন অংশে যদি পুড়ে যায়, ক্ষত তৈরি হয়, কেটে যায় তাতে নিমগাছের পাতার রস ্ওষধ এর মতো খুব ভালো কাজ করে।

* নিম পাতা ভালো করে শুকিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে ব্যবহার করতে পারেন।

* নিম পাতা শুকিয়ে গুরো করে ভাতের সাথে খেতেও খুব উপকারী।

* আমাদের শরীরের বা ত্বকের চুলকানি সমস্যা নিমপাতা দিয়ে পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।

*  শরীরের যে কোন ধরনের চুলকানি সমস্যা নিমপাতা ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।

* আমাদের শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দুর করতে নিমপাতা খেতে পারেন এতে ভালো ফলাফল পাবেন।

*নিয়মিত নিম পাতার রস খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়।

*নিম পাতা আমাদের শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করতে বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করেএবং শরীর সুস্থ  ও সতেজ এবং রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতা রস বেশ উপকার।
Share:

ঘরোয়া উপায়ে স্লিম হওয়ার সহজ টিপস


শরীরে মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব। আর তা যদি ঘরোয়া উপায়ে হওয়া যায় তাহলে তো মন্দ হয় না, কী বলুন? চলুন জেনে নেওয়া যাক স্লিম হওয়ার ঘরোয়া টিপস- 

গ্রিন টি
গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ৪ কাপ গ্রিন টি পানের ফলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। এবং গ্রিন টি-তে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন। 

লিস্ট
যেদিন থেকে রোগা (স্লিম) হওয়ার কথা ভাববেন সেদিন প্রথমেই কি কি খাবেন এবং কখন খাবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে নিন।

নৃত্য
যদি আপনি নৃত্যশিল্পী নাও হন, তাহলে গানের সঙ্গে পায়ে তাল মেলান। ১০ মিনিট ধরে তাল মিলিয়ে দেখুন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫৮ শতাংশ ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন।

মশলাদার খাবার
শুধু সিদ্ধ খাবার কখনই খাবেন না। মশলা যেমন হলুদ, ধনে, জিরেগুঁরো ইত্যাদি মশলাগুলোকে কখনওই খাবার থেকে বের করে দেবেন না। কারণ এই মশলাই আপনাকে রোগা হতে সাহায্য করবে।

ফোনে ঘুরে কথা বলুন
যখন ফোনে কথা বলবেন তখন একটা জায়গাতে বসে কখনওই কথা বলবেন না। সব সময় ঘুরে ঘুরে কথা বলুন। এইভাবে ১০ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করতে পারবেন।

জল খান
প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল খাওয়ার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ঘর মুছুন
বাড়ির কাজ করুন। যেমন ঘর মুছলে সব থেকে বেশি ক্যালোরি নষ্ট করা যায়। স্লিম হওয়ার জন্য এই পদ্ধতিতে স্লিম হওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। এর ফলে ৪২ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করা সম্ভব।

চিনিকে না বলুন
চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। ১ চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালোরি থেকে থাকে। তাই চায়ে বা দুধে কখনওই চিনি দিয়ে খাবেন না।

তাড়াতাড়ি ডিনার করুন
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। কারণ রাতে খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে মোটা সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর রাতে যদি খিদে পায় তখন এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।

জগিং করুন
বাইরে দৌঁড়াতে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। পারলে নিজের ঘরের মধ্যেই জগিং করতে পারেন।

দিনে ঘুম বাদ দিন
রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই দরকার। কিন্তু কখনই দিনের বেলায় ঘুমাবেন না। এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

আস্তে আস্তে খান
যখন খাবার খাবেন তখন জলদি না খেয়ে আস্তে আস্তে খান। এতে আপনার পেট ঠিকঠাকভাবে ভরবে। যদি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খান তাহলে প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।

খাবার আগে পানি খান
খাবার খাওয়ার আগে সব সময় এক গ্লাস পানি খান। এছাড়া জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাবেন না। যেমন ক্রিম বিস্কুট, বার্গার ইত্যাদি। যতটা পারবেন বাড়ির তৈরি খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে এবং মোটাও হবেন না।

ছোট প্লেটে খান
প্লেট বদলে ফেলুন। যে প্লেটে খাবার খান তার থেকে ছোট প্লেটে খান। এতে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলছেন। তাই কম খাবার খেতে শুরু করবেন।

খিদে পেলে পপকর্ণ খান
শুধুমাত্র সিনেমা হলে গেলেই পপকর্ণ খাবেন না। যখনই খিদে পাবে তখনই পপকর্ণ খেতে পারেন। এটি কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার। তাই মোটা হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
Share:

হজমশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার খেলে!



 হজমে সমস্যা? কিছু ভারী খাবার খেলেই বদহজম হয়, পেটে 'বুডবাড' শুরু হয়ে যায়? গ্যাস হয়? বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এমন সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। খাবার হজম হয়ে আমাদের দেহে শক্তি তৈরি হয়। কিন্তু যখন এই হজমশক্তি কমে যায় আমাদের দেহ দুর্বল হওয়া শুরু করে। পুষ্টির শূন্য শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা ধরনের রোগ। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কিছু খাবার আছে যা প্রাকৃতিকভাবেই হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

আদা: হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে আদা। এটা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।
দারুচিনি: দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী। তবে যাদের লিভারে গুরুতর সমস্যা আছে তাদের জন্য এটা অনেক সময় ক্ষতি ডেকে আনে।

বিটরুট: এতে রয়েছে বিটাসায়নিন, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এছাড়া এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি৩, বি৬ এবং ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন যা সবই পরিপাকযন্ত্র, লিভার এবং গলব্লাডারের সুরক্ষায় কাজ করে।

রসুন: দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরনের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।

ব্রকলি:এই সবজিটি খাওয়া দেহের জন্য অনেক ভালো। এটি আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে। স্যুপ, পাস্তা কিংবা সাধারণ সবজি রান্নায় ব্রকলি ব্যবহার করুন। দেহ সুস্থ থাকবে।

এলাচ : সাধারণত রান্নাতে ভালো গন্ধ হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচ। কিন্তু হজমের জন্যও ব্যবহৃত হয় এলাচ। এলাচে ভোলাটাইল তেল থাকে। যা গ্যাস এবং বদ হজমের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া মুখে দুর্গন্ধ ছাড়লে এবং পেটের আলসার এড়িয়ে চলতে অবশ্যই খেতে পারেন এলাচ।

মৌরি : মৌরি সাধারণত মুখ শুদ্ধি হিসেবে কাজ করে। এটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে। খালি পেটে মৌরি খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা দূর করা যায়। এছাড়া হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে মৌরি।

পান : পান হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়া হার্ট ভালো রাখে, গ্যাসের সমস্যা দূর করে, শরীরে খারাপ টক্সিনের পরিমাণ কমিয়ে লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।

Share:

শীতে হাত ও পায়ের ত্বক শুকনো হয়ে আসছে? ঘরোয়া পদ্ধতিতে যত্ন নিন

https://daktarapa.blogspot.com


ত্বকের শুষ্কতা শীতকালের একটা বড়ো সমস্যা৷ হাত আর পায়ের ত্বক আরও বেশ করে শুকিয়ে যায় তার কারণ এই দু’টি অঙ্গ সর্বক্ষণ কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে৷ পায়ে রাজ্যের ধুলোময়লা লাগে সারাদিন, সেটা পরিষ্কার করার জন্য নিশ্চয়ই আপনি সাবান আর স্ক্রাবারও ব্যবহার করেন প্রাণপনে৷ তার পর যদি প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চরাইজ়ার না লাগানো হয় তা হলেই ত্বক আর্দ্রতা হারাতে আরম্ভ করে৷ হাতে বারবার জল লাগে৷ খাওয়ার আগে-পরে, প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করার পর আমরা সাবান দিয়ে হাত ধুই, তাই হাতও আর্দ্রতা হারায় খুব দ্রুত৷

ব্যাগে বা অফিসের ডেস্কে সর্বক্ষণ একটা হ্যান্ড ক্রিম বা পছন্দের কোনও ভারী ময়েশ্চরাইজ়ার রাখুন৷ প্রতিবার হাত ধোওয়ার পর নিয়ম করে সেটি লাগিয়ে নেবেন৷ বাড়িতে বাসন মাজা বা কাপড় কাচার মতো কাজ করতে হয় নিয়মিত? ভালো ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন, তাতে হাত আর কাপড় দুই-ই বাঁচবে৷ সেই সঙ্গে গ্লাভস পরা অভ্যেস করা দরকার৷ পায়ে মোজা পরুন পুরো শীতটা৷ তাতে ময়লার হাত থেকে বাঁচার পাশাপাশি উষ্ণও থাকবেন৷ একান্তই সেটা সম্ভব না হলে ঢাকা দেওয়া পাম্প শ্যু, ব্যালেরিনা, ক্যানভাসের কেডস বা স্নিকার্স পরার অভ্যেস করুন৷ রাতে শোওয়ার আগে পা পরিষ্কার করে কোনও ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা এক পরত নারকেল তেল পায়ে লাগিয়ে পুরোনো, আলগা হয়ে যাওয়া মোজা পরে ঘুমোতে যান, কয়েক দিনের মধ্যেই সুফলটা বুঝতে পারবেন৷ এছাড়াও রইল বেশ কিছু ঘরোয়া প্যাকের হদিশ যা আপনার হাত ও পায়ের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে দারুণ কার্যকর৷

অ্যাভোকাডো ও চিনির স্ক্রাব: অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার ত্বকে পোষণ জোগায় ও আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে৷ অর্ধেক অ্যাভোকাডো ম্যাশ করে নিন একটা ছোট বাটিতে৷ তার মধ্যে মিশিয়ে নিন এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল এবং আধকাপ মতো চিনি৷ এই মিশ্রণটা হাতে ও পায়ে ভালো করে লাগান, সার্কুলার মোশনে ঘষে ঘষে লাগালে উঠে যাবে ত্বকের যাবতীয় মৃত কোষ৷ তার পর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কোনও ভারী ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন৷

দই আর মধুর মাস্ক: বাড়িতে পাতা দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ফিরিয়ে আনবে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা৷ সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক বড়ো চামচ মধু৷ মিনিট 10-15 রাখুন, তার পর সামান্য গরম জলে ধুয়ে কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান৷

অলিভ অয়েল আর চিনি: অলিভ অয়েল ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, চিনি কাজ করে স্ক্রাবার হিসেবে৷ দুই বড়ো চামচ অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে নিন৷ তারপর বেশ করে ঘষে ঘষে লাগান হাতে ও পায়ে৷ মিনিট 15 পর তেলটা টেনে যাবে৷ তখন ধুয়ে ক্রিম লাগিয়ে নিন৷ দিনে দুই থেকে তিনবার এমনটা করতে পারেন৷

অ্যালো ভেরা জেল: তাজা অ্যালো ভেরা জেল আর কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ হাতে ও পায়ে লাগান৷ মিনিট 15 পর ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন৷

পাকা কলা: পাকা কলা, মধু আর অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ তার পর 5-7 মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন হাতে৷ অল্প গরম জলে হাত ধুয়ে নিন এবং লাগিয়ে নিন ময়েশ্চরাইজ়ার৷

Share:

এই শীতে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি করবেন


শীতে ভোগতে হয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায়। কারণ শীতে পরিবেশের তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে মানব দেহের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। এতে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।

# রক্তনালিতে সংকোচন হয়ে হাত,পা ঠান্ডা হয়ে যায়।

# শীতের কারণে শরীরে কাঁপুনি হয়। এতে কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।

# শীত শরীরের মাংসপেশিকে দুর্বল করে তোলে।

# শীতের কারণে স্নায়ুর নমনীয় হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়; অনুভূতি শক্তি কমে যায়।

# শীত হৃদপিণ্ডের গতি কমিয়ে দেয়, হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন ঘটিয়ে মৃতঝুঁকি বাড়ায়।

# শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা কমে যায়। এতে দেহের তাপমাত্রা কমে যায়।

# এ সময় কম তাপমাত্রার কারণে রক্তনালী সরু হয়ে যায়। এতে উচ্চ রক্তচাপ হয়।

# দেহের বিভিন্ন গাঁটের নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যায়। গাঁট শক্ত হয়ে যায়। গাঁটের পিচ্ছিল উপাদান ঘন   হয়ে ব্যথা বাড়ে।

শীতে সাধারণত যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হয়

গলা ব্যথা করণীয়: গলা ব্যথা ভাইরাস জনিত সমস্যা। গলা ব্যথা কমাতে কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করলে অনেকটাই আরাম মিলবে।

অ্যাজমা, আলার্জির ঝুঁকি বাড়ে এক্ষেত্রে করণীয়: শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি, অ্যালার্জি উৎপাদনকারী উপাদান থাকে। এতে শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়। তাই শীতে বাড়তি যত্ন হিসেবে ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন। বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।

বাতের ব্যথা বাড়ে এক্ষেত্রে করণীয়: শীতে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। এতে বাতের ব্যথা বাড়ে। তাই শীতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

হার্ট অ্যাটার্কের ঝুঁকি বাড়ে এক্ষেত্রে করণীয়: শীতে রক্তচাপ বাড়ে। এতে হার্টের পেশির কর্মদক্ষতা কমে গিয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয়। তাই শীতে নিজেকে গরম রাখতে পর্যাপ্ত শীত পোশাক পরুন।

শীতকালীন ডায়রিয়া থেকে রক্ষায় করণীয়: শীতে ভাইরাস ঘটিত ডায়ারিয়া থেকে বাঁচতে বাসি, পচা ও অস্বাস্থ্যকর খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।

শুষ্ক ত্বক ক্ষেত্রে করণীয়: শীতে আর্দ্রতা কমে যায়। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে গোসলের পর মশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। বেশি করে ভিটামিনযুক্ত সতেজ শাক সবজি খান।

শীতে ফ্লু থেকে রক্ষায় করণীয়: ফ্লু ঘটিত ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি শীতের প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই মুখে রুমাল দিয়ে হাঁচি-কাশি দিন। কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোন। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান। সুস্থভাবে শীত উপভোগ করুন।
Share: